কত ঘন্টা ঘুম কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি!

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কত ঘন্টা ঘুম দরকার ??

মানুষ এখন দ্রুত গতির জীবন যাপনে অভ্যস্ত। প্রায় প্রায় রেস্তোরাঁর খাবার খাওয়া, রাত করে ঘুম, ঘুম থেকে দেরি করে ওঠা, এক্সারসাইজে অনীহা- এমন সব অভ্যাস গুলিকে প্রশ্রয় দিতে দিতে কখন যে আমরা খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় তা আমরা নিজেরাও জানতে পারি না।

আর সে কারনে যে কোন বয়সেই আমরা আক্রান্ত হচ্ছি হৃদরোগে। ধুমপান,অস্বাস্থ্যকর খাদ্যেভাস হৃদরোগের অন্যতম কারন । আমেরিকার হার্ট এসোসিয়েশন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনার কথা বলছে…
জেনে নিন সেগুলো কি কি

★ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

★আপনি যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান তবে প্রতিদিন ৯ ঘন্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। আমরা সচেতন ভাবে উপলব্ধি না করতে পারলেও প্রাত্যহিক জীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে শরীর সতেজ ফুরফুরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না।

★ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ও বাড়তি ওজনের মতো শারীরিক সমস্যা গুলি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুন। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে এ ধরনের রোগ গুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রত্যেকের জন্য খুব জরুরী। নিয়মিত চেক আপ করাতে হবে আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধন সেবন করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোননঔষধ খাওয়া কিংবা বন্ধ করা দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ ।

★ সুস্থ থাকতে অনেকেই শরীর চর্চা করে থাকেন নিয়মিত। কিন্তু মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত শরীর চর্চাও ভাল নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া শরীর চর্চা করলে হীতে বিপরীত হতে পারে । অপরিকিল্পিত শরীর চর্চায় হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনার কথা ইদানীং শোনা যাচ্ছে।

★ শরীর চর্চার পাশাপাশি নজর রাখতে হবে ডায়েটের দিকে। অস্বাস্থকর খাবার খাওয়া এবং খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

★ কেবল ক্যন্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এমন নয় ধুমপান হৃদযন্ত্রকে বিকেল করে দিতে পারে। তাই হৃদরোগের আশংকা কমাতে ধুম পানের অভ্যাস ছাড়তে হবে।

প্রিয় যশোর ডেক্স